Social Icons

Saturday, 6 February 2016

বাংলাদেশের ক্রিক্রেটারদের প্রতি ভারতের চরম অবহেলা !


বাংলাদেশে এক শ্রেণীর  লোক আছে যাদের কাছে পাকিস্তান বললেই মনে হয় তাদের গা জ্বলে উঠেছে । তারা চাচ্ছিল বাংলাদেশ ক্রিক্রেট বোর্ড যেন PSL খেলতে না দেয়। যাক বোর্ড এই রকম কোন আত্নঘাতী সিদ্ধান্ত নেয় নি তাই পাপন ভাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ এর ফলে উনি আমাদের ক্রিক্রেটকে অনেক বড় ধংসের হাত থেকে রক্ষা করেছেন । ভাই আপনাদের বলি সব জায়গায় রাজনীতি আর হিংসা খুইজেন না তাহলে আর সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন না আর নিজেরা নিজেরা ঝগড়া করে শেষ হবেন। খেলাটাকে রাজনীতি থেকে বাদ দিয়েন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি ভারত থেকে অনেক অনেক বেশি পাকিস্তান আমাদের ক্রিক্রেটারদের মূল্যায়ন করে। যার প্রমান আমরা দেখতে পাই ২০১৫ তে যখন অস্টেলিয়া বাংলাদেশে নিরাপত্তার অজুহাতে আসল না তখন এক মাত্র পিসিবিই অস্টেলিয়ারর সমলোচনা করেছে বাংলাদেশের হয়ে এমনকি ছোটদের বিশ্বকাপ খেলেতে যখন অস্টেলিয়া একই অজুহাতে বাংলাদেশে আসতে অস্বকৃতি জানাল তখন এই পিসিবিই একমাত্র এর কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। আর আমরা কিছু হইলেই পাকিস্তানের পিছনে লেগে থাকি। খালি এদের দোষ খুজে বেড়াই । এবারে পি এস এলে পাকিস্তান কিন্তু ঠিকই আমাদের ৪ জন টাইগারকে দলে ভিড়িয়েছে আর আমি নিশ্চিত এবার দল যদি বেশি হত ওরা তাহলে আরো কয়েকজনকে ঠিকই নিত। শুধু কি তাই দেখুন এরা আমাদের সাকিবকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েই দলে নিয়েছে আইকন খেলোয়ারদের পরেই সাকিবের স্থান শুধু কি তাই দেখুন ওরা দলে নিয়ে সাকিবকে তার পজিশনে খেলতে দিল এবং যার ফলে তারা সাকিবের সেরাটাও বের করে নিতে পারল এবং প্রথম ম্যাচেই তামীমকে খেলালো এবং দুজনই ম্যাচ সেরা হল কারন তাদেরকে ফ্রীভাবে খেলতে দেওয়া হয়েছিল ।
অপরদিকে আইপিল এর কথা মনে পড়ে তৎকালীন সময় ওরা আশরাফুল রাজ্জাক এবং মাশরাফিকে নিয়েছিল ঠিকই মাত্র ১ টি করে ম্যাচ খেলিয়েছিল আর তামীমকেত মাঠেই নামতে দেয় নি । আচ্ছা আপনিই চিন্তা করুন তামীম কি এত বাজে খেলোয়ার যে ১৮ ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচেও সুযোগ পাবে না। আর সাকিবের কথাত বললে অবহেলার কথা বলে শেষই করা যাবে না। সাকিব যেবার প্রথমে আইপিএল এর নিলামে উঠল তখন সে আইসিসির নাম্বার ওয়ান অল রাউন্ডার অথচ তখন তাকে কোন দলই কিনল না। তার আসল কারন কি জানেন সে একজন বাংলাদেশি তারপরের বার সে সুযোগ পেল ঠিকই কারন পরের বারও সে আন্তজাতিক ক্রিক্রেটে নিজের এক নম্বর আসনটি ধরে রেখেছিল বলে। যেবার সুযোগ পেল সেবার ও তাকে একের পর এক ম্যাচে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখল এবং যার ফলও কলকাতা পেল একের পর এক ম্যাচ হেরে। হারতে হারতে অবশেষে তাকে যখন সুযোগ দিল সে তার কারিশমা দেখাতে লাগল কয়েকটা ম্যাচে ম্যান অফ দি ম্যাচ হয়ে। তার পররেও তারা সুযোগ পেলেই সাকিবকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করত এবং কয়েকটা ম্যাচে তাকে বসিয়েও রেখেছিল । আর সবচেয়ে বড় কথা সাকিব এক সত্তিকারেের ম্যাচ উইনার হওয়া সত্তেও তাকে ৬ নম্বর অথবা ৭ নম্বরে ব্যাট করতে হত। আচ্ছা আপনারাই বলুন সাকিব কি ৬ ও ৭ নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করার খেলোয়ার সাকিবকে বাদ দিয়ে বুড়া ক্যালিসকে খেলাত এই সবই করা হত সে বাংলাদেশি বলে। তারপরও কলকাতার ২ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে সাকিবের অবদান অসাধারন। তারপরও সাকিবকে যে টাকা দিয়ে কিনা হয় ভেবে দেখুনত সাকিবকে কি সঠিক মূল্যায়ন করা হয় । অন্যদিকে সাকিব থেকে অনেক নিন্ম মানের খেলোয়াদের তারা অনেক বেশি মূল্য দিয়ে কেনে। আর এইবার ত চরম অপমান করল সাকিব আর মুস্তাফিজ বাদে কাউকে দলেই নিল না। আচ্ছা তামীম আর মুশফিক কি আই পি এল খেলার যোগ্য না সৌম্য আর তাসকিনের কথা বাদই দিলাম।
এখন একটু চিন্তা করে দেখুন কারা বাংলাদেশকে অবমূল্যায়ন করে। আর এই সৌম্য এবং তাসকিনইত ভারতকে নাকানি চুবানি দিল এত তাড়াতড়ি ভুলে গেল ! আর আজ প‍র্যন্ত এখও ভারত বাংলাদেশকে পূর্ণাঙ্গ একটি সিরিজ খেলতে আমন্ত্রণ জানায়নি । অপরদিকে পাকিস্তানের ৩টা পূর্ণাঙ্গ সিরিজ আমরা বাতিল করেছি সেটা অবশ্য ঠিক আছে কারন বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান যাওয়া আরেক আত্নঘাতী সিদ্ধান্ত । তারপরেওত তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে । এখন সমলেচকরা বলতে পারেন পাকিস্তানের র্তমান রিস্থিতি  এর কারনে এই  আমন্ত্রণ তা কিন্তু মোটেও ঠিক না কারন ২০০৩ এ যখন বাংলাদেশ ক্রিক্রেটের করুন তখন কিন্তু বাংলাদেশ  পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে এসেছিল । এখন আপনারাই চিন্তা করুন কে আমাদের ক্রিক্রেটের বন্ধু ! 

No comments:

Post a Comment

 

Sample text

Advertisement

Your Javascript ads here!

Sample Text

Sample Text

সত্যের সাথে আগামীর পথে এ আমার প্রত্যয়
 
Blogger Templates