Social Icons

Sunday, 31 January 2016

ঘরে বসে Income SEO এর মাধ্যমে

আমরা সবাাই Income করতে চাই । But income করা কি এত ৈসহজ ! তবে হ্যা অবশ্যই সহজ যদি আপনি একটু বুদ্ধি করে SEO কাজটা শিখে নেন তাহলে ঘরে বসেই হাজার হাজার টাকা Income করতে পারবেন ।
SEO কি, কিভাবে ক্যারিয়ার হিসেবে এসইও শিখবেন, কি কি শিখবেন ?
এসইও কি? ওয়েবসাইটের জন্য এসইও গুরুত্ব:
SEO মানে ‍Search Engine Optimization। বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ তার প্রয়োজনীয় তথ্য খুজে পেতে গুগলে সার্চ করে। গুগল তখন তার সার্চ রেজাল্ট পেজে অনেকগুলো সাইটের ফলাফল প্রদর্শন করে। কোনটি প্রথমে কোন ওয়েবসাইটের নাম হয়ত প্রদর্শন করে ২নং পেজে। যেটি প্রথমে দেখা যাচ্ছে সেটি প্রথমে দেখাচ্ছে কারন সেটিকে এসইও করা হয়েছে। কোন ওয়েবসাইটকে সার্চের প্রথমে প্রদর্শন করার জন্য যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়, সেটিকে এসইও বলে। যখন আপনার ওয়েবসাইট সার্চের প্রথমে থাকবে তখন ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পায়। আর ভিজিটর বৃদ্ধি হলে ইনকামও বৃদ্ধি পায়। ধরুন, কোন কোম্পানি তাঁদের ওয়েবসাইটে পুরান মোবাইল সেট বিক্রয় করে। তাহলে তাঁরা চাইবে কেও যদি গুগল অথবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে সার্চ করে “Buy used mobile phones” তার সাইট যেনো সার্চ রেজাল্টে প্রথমে আসে। সেই ক্ষেত্রে সার্চ কারী ব্যাক্তি তার ওয়েব সাইটের নাম সার্চ রেজাল্টে দেখে সেখানে ক্লিক করবে এবং তার ওয়েব সাইটে যাবে, এবং সেখান থেকে পন্য কিনবে। এই জন্যে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিস্থান গুলো SEO এক্সপারট দের হায়ার করে এবং তার সাইটের SEO এর কাজ দেয়। ঠিক একি ভাবে আপনি আপনার নিজের সাইটের জন্যে SEO করে নিজেই নিজের সাইট থেকে আয় করতে পারেন পন্য বিক্রির মাধ্যমে, অথবা Affiliate ইনকাম এর মাধ্যমে অথবা গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে। Affiliate Income এবং গুগল এডসেন্স নিয়ে আমি পরে লিখবো বিস্তারিত।
SEO
সার্চ ইঞ্জিন কী :
আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় যেকোন বিষয়ের তথ্য জানতে হলে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকি। তখন সারা বিশ্বের যত ওয়েবসাইটে এ ব্যপারে যেকোন তথ্য আছে, সব আমাদের সামনে চলে আসে। এ বিষয়গুলো জানার এসব উৎসকে সার্চ ইঞ্জিন ( search engine ) বলে। বিখ্যাত কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের নাম হলোঃ গুগল (google), ইয়াহু (yahoo),বিং( bing) ইত্যাদি ।
এই সব সাইটে আপনি একটি শব্দ সার্চ বক্সে লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করলে , কয়েক সেকেন্ড এর মধ্য অনেক ওয়েবসাইটের লিংক চলে আসে, যেসব লিংকে গেলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় ।
সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে :
সার্চ ইঞ্জিনগুলো তৈরি হয়েছে, মানুষের তথ্য থুজে পাওয়ার জন্য। সেজন্য কোন কিছু সার্চ দিলে যাতে সবচাইতে সেরা তথ্য খুজে পাওয়া যায় সেজন্য সার্চইঞ্জিন সাইটগুলো কিছু পোগ্রাম তৈরি করে রাখে। যেটি সকল সাইটগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তুলনা করে সেরা সাইটগুলোকে সার্চের সামনে নিয়ে আসে। সেরা সাইট নির্বাচন করার জন্য তারা দেখে ওয়েবসাইটটির মানসম্মত কিনা, ওয়েবসাইটের তথ্য সকলের জন্য প্রয়োজনীয় কিনা, ওয়েভসাইটটি কেমন জনপ্রিয়। এগুলোসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে ফলাফল প্রদর্শন করে।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ক্ষেত্রে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ :
ওয়েবসাইট তৈরি হয় কোম্পানীর পণ্যের প্রসারের জন্য। যতবেশি মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে, ততমানুষ আপনার পণ্য সম্পর্কে কিংবা সার্ভিস সম্পর্কে ধারণা পাবে। সার্চ ইঞ্জিন কোন একটি ওয়েভ সাইটে ভিজিটরের প্রধান উৎস। শতকরা ৮০% ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিন মাধ্যমে কোন ওয়েব সাইটে আসে । ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়বে । বিভিন্ন কারণে সার্চ ইঞ্জিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
ক) যেকোন ওয়েবসাইটের বেশীর ভাগ ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনে থেকে আসে । প্রতি মাসে প্রায় বিলিয়ন বিলিয়ন সার্চ হয় । United States এ এক জরিপে দেখা গেছে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন সার্চ হয় । (সূএ : com score.2008 )
গ) অনেকে জানেনা তাদের প্রয়োজনীয় কোন তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে।সে জন্য তারা সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে সে বিষয় লিখে সার্চ করে । তখন প্রয়োজনীয় সাইটের লিস্ট তাদের কাছে চলে আসে।
ঘ) বিনামুল্যে যেকোন তথ্য খুজে পাওয়া যায়, সেজন্য সবাই এটি ব্যবহার করে।
ঙ) সকল তথ্যে বিশাল ভান্ডার হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। সেজন্য দিনে দিনে এটির উপর সবার নির্ভরশীলতা দিনে দিনে বাড়ছে।
চ) যেহেতু তথ্য খুজে পেতে সবাই সার্চইঞ্জিনের সাহায্য নিয়ে থাকে, সেজন্য সকল কোম্পানী তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য সনাতনী পদ্ধতি ছেড়ে দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনের সার্চের প্রথমে তাদের কোম্পানীর ওয়েবসাইটকে রাখতে চায়।
জ) মার্কেটিংয়ের সনাতনী সকল পদ্ধতিগুলো ব্যয়বহুল এবং বর্তমানযুগে কম কাযকরী। অন্যদিকে SEO তে খরচ কম কিন্তু আগের পদ্ধতির চাইতে কমপক্ষে ৬০ভাগ বেশি কাযকরী।
ক্যারিয়ার হিসাবে SEO :
বাংলাদেশে যারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করে তাদের বেশিরভাগ এসইও এর মাধ্যমে আয় করে। কারন বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি কম। সাধারণত যাদের কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারন ধারনা আছে, ইংরেজীতে মোটামুটি পারদর্শী, ওয়েবসাইট ভিজিট করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তারা অতি সহজে এসইও এর কাজে পারদর্শী হতে পারেন। কোন প্রোগ্রামিং ভাষা জানার তেমন দরকার নাই বিধায় এই কাজ অতি সহজে রপ্ত করে দ্রুত কাজ শুরু করা যায় বলে বিশ্বব্যাপী এই কাজে নিয়োজিত আছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এখানে উল্লেখ্য কোন প্রোগ্রামিং ভাষা না জানলেও কিছু বেসিক HTML, CSS, Photoshop এর কাজ জানতে হবে। এবং আমি এটা নিয়েও ট্রেনিং প্রদান করবো, কিভাবে বেসিক ওয়েব সাইট ইডিট করতে হয়, ওয়ারডপ্রেসে ব্লগ বানাতে হয় ইত্যাদি।
১)বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে (odesk.comfreelancer.com ইত্যাদি)ভিজিট করলে দেখা যায়, এসইওর কাজ সবচাইতে বেশি।
২) নিজের একটি ব্লগ সাইটখুলে সেটিকে এসইও করে গুগলের প্রথমদিকে আনতে পারলে যদি ভিজিটর বৃদ্ধি পায় তাহলে অ্যাডসেন্স কিংবা এ ধরনের আরও অনেক বিজ্ঞাপনী সার্ভিসের মাধ্যমে ভাল আয় করা যায়। এপদ্ধতিতে সাধারণত মাসে ১০০ ডলার থেকে ১০০০ডলারের মত আয় করা যায়।
৩) অ্যাফিলিয়েশন্সের আয়ের জন্য প্রধান শর্ত হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচুর পরিমানে টার্গেটেড ভিজিটর। আর ভিজিটর আনতে হলে এসইও করতেই হবে। আউটসোর্সিংয়ের এ কাজের মাধ্যমে মাসে আয় করা যায় সাধারণত ৩০০ -২০০০ ডলার।
৪) এসইওর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট গুগলের প্রথমে আনতে পারলে এবং ভিজিটর প্রচুর পরিমানে ওয়েবসাইটে আসলে বিভিন্ন লোকাল কোম্পানীর বিজ্ঞাপন আপনার সাইটে ব্যবহার করে মাসে ৩০০০০ টাকা থেকে ৫লাখ টাকাও আয় করতে পারবেন।
৫) এসইও শিখার আরও গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, এসইও কোর্স একটি কিন্তু আয় করা সেক্টর অনেকগুলো। যেমনঃ ফোরাম পোস্টিং কিংবা ব্লগ কমেন্টিং কিংবা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেংবা পুরো এসইও করে আয় করা যায়।
৬) প্রতিদিন মাত্র ২-৩ ঘন্টা সময় দিয়ে এসইও করা যায়। সেজন্য অন্য চাকুরী পাশাপাশি এটি শিখে আয় করা সম্ভব।
কিভাবে শিখবেন এসইও?
আপনার ইংরেজি পড়া এবং বুঝার স্কিল যদি মোটামুটি লেবেলের ভালো হয় তবে আপনি গুগলকে ইউজ করে ভালো মানের কিছু ব্লগ থেকে এসইও’র অনেক অনেক কিছু শিখতে পারেন। আর নেট স্পিড ভালো হলে ইউটিউব থেকে বিভিন্ন ভিডিও সার্চ করে দেখতে পারেন। বাংলাতেও প্রচুর এসইও গাইডলাইন আছে।
অনেকে অনলাইন থেকে শিখতে গিয়ে ধৈয্য হারিয়ে ফেলেন। যারা এভাবে শিখতে অভ্যস্ত না তারা ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে ভর্তি হয়ে ৮০০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা খরচ করে পুরো ব্যাপারটি অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন। আমাদের দেশে ইতিমধ্যে এ সম্পর্কিত অনেকগুলো ভালমানের ট্রেনিং সেন্টার গড়ে উঠেছে।
তবে সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক ব্যাপার হচ্ছে বেসিক SEO আমি শিখিয়ে দিবো, তবে বাকিটা আপনাদের নিজে নিজে শিখতে হবে। আমি শুধু আপনাদের পথ দেখিয়ে দিবো, বাকিটা আপনারা আপনাদের ইচ্ছা শক্তি দিয়েই পারবেন।
কি কি শিখতে হবে?
এসইও দুইপ্রকার। অনপেজ এসইও এবং অফপেজ এসইও। এ দুটির সকল বিষয় আপনাকে খুব ভালভাবে জানা থাকতে হবে। এসইওর কাজ শুরুর আগে যা যা শিখতে হবে, সেগুলো হলো: কিওয়ার্ড রিসার্চ, বিভিন্ন এইচটিএমএল ট্যাগের ব্যবহার, কনটেন্ট অপটিমাইজেশন, ফোরাম পোস্টিং, ব্লগ কমেন্টিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ডাইরেক্টরী সাবমিশন, গেস্ট ব্লগিং, প্রেসরিলিজ সহ আরও অনেক কিছু।
মনে রাখবেন, এই কাজ শিখতে আপনার সবচেয়ে বেশি দরকার গভীর ইচ্ছা , ধৈর্য এবং মনোযোগ। এক দিনে কিছুই হবেনা। ৪/৫ মাস কষ্ট করার পর বুঝতে পারবেন আপনি কিছু একটা শিখতে পেরেছেন, ধরতে পেরেছেন… এর পরের পথটা আপনি নিজেই তৈরি করে নিবেন।
(লেখক, MD. Mohabbat Hossain Rubel, Computer Engineer )

                                                                              


বেগুন

বেগুন এক প্রকারের সবজি। বেগুন গাছের ফলকে রান্না করে খাওয়া হয়। এর আদি নিবাস দক্ষিণ এশিয়া। এটি টমেটো ও আলুর সাথে সম্পর্কিত। বেগুন গাছ প্রায় ৪০ থেকে ১৫০ সেমি দীর্ঘ হয়। পাতাগুলো ঘন এবং প্রায় ১০ থেকে ২০ সেমি দীর্ঘ ও ৫ থেকে ১০সেমি প্রশস্ত হয়। বুনো বেগুন গাছ আরো বড় হতে পারে। বেগুনের ফুল সাদা হতে গোলাপী বর্ণের হয়। পাঁচটি পাপড়ি থাকে। বেগুনের ফল বেগুনী বা সাদা বর্ণের হয়। ফল অনেকটা লম্বাটে নলাকৃতির হয়ে থাকে। ফলের ভিতরে অনেকগুলো নরম বিচি থাকে। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন রান্নায় বেগুনের ফল ব্যবহার করা হয়। বেগুন ভর্তা, বেগুন পোড়া, এবং বেগুনী বানাতে এর ব্যবহার রয়েছে। বিশেষত বাংলাদেশে ইফতারের জন্য বেগুনী একটি জনপ্রিয় খাবার। বীজতলা তৈরি বেগুন চাষের জন্য প্রথমে বীজতলায় চারা তৈরি করে মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। বীজতলা তৈরির সময় কয়েকটি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন- বীজতলায় যেন পানি না জমে। ঐ স্থানে সব সময় আলো-বাতাস থাকে। বীজতলার কাছাকাছি সেচের ব্যবস্থা থাকলে ভালো। রোগমুক্ত সবল চারা পেতে হলে বীজতলার মাটি শোধন করে নিতে হবে। চারা উৎপাদন বেগুন চাষের জন্য চারা উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শীতকালীন বেগুন চাষের জন্য শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি হতে আশ্বিন মাস এবং বর্ষাকালীন বেগুন চাষের জন্য চৈত্র মাস পর্যন্ত বীজ বপন করা যায়। বালি, কমপোষ্ট ও মাটি সমপরিমাণে মিশিয়ে বীজতলা তৈরি করতে হয়। সবল চারা পাওয়ার জন্য প্রথমে একটি বীজতলায় বীজ বুনতে হয়। বীজ গজানোর ৮-১০ দিন পর চারা তুলে দ্বিতীয় বীজতলায় রোপণ করতে হয়। এতে চারা স্বাস্থ্যবান হয়। জমি তৈরি ও চারা রোপণ[সম্পাদনা] বেগুন বেশ কয়েক মাস ধরে মাঠে থাকে। তাই ভালো ফলন পেতে জমি ভালোভাবে তৈরি করতে হবে। সাধারণত মাঠের জমি তৈরির জন্য ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। ৩৫-৪৫ দিন বয়সের চারা রোপণের উপযোগী হয়। এ সময়ে চারাতে ৫-৬ টি পাতা গজায় এবং চারা প্রায় ১৫ সে.মি. লম্বা হয়। চারা তোলার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শেকড় নষ্ট না হয়। চারা তোলার ১-২ ঘন্টা আগে বীজতলায় পানি দিয়ে মাটি ভিজিয়ে নিলে শেকড় নষ্ট হয় না। বীজতলায় চারা তৈরি করে ৫-৬ সপ্তাহ বয়সের চারা ৭৫ সে.মি. দূরত্বে সারি করে ৬০ সে.মি. দূরে দূরে লাগাতে হয়। বেগুনের জাতের গাছের আকার অনুয়ায়ী এ দূরত্ব ১০-১৫ সে.মি. কম-বেশি করা যেতে পারে। ১মিটার আকারের বীজতলায় প্রায় ৮-১০ গ্রাম বীজ বপন করতে হয়। চারার বয়স ৩৫-৪০ দিন হলে মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। সার প্রয়োগ[সম্পাদনা] কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে বেগুন চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশি যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশেপাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদির স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা সম্ভব। রোগবালাই[সম্পাদনা] ফিউজিয়াম ছত্রাক দ্বারা বেগুনের ঢলে পড়া রোগ হয়। গাছের গোড়া ও শেকড় বিবর্ণ হয়ে যায়। এ রোগ হলে পাতা নেতিয়ে পড়ে ও গাছ ঢলে পড়ে। পরবর্তীতে গাছ মারা যায়। প্রতিকার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে পোকা দমন না হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণের অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে। সেচ ও নিষ্কাশন শীতকালীন ও আগাম লাগানো বর্ষাকালীন ফসলের জন্য বেগুনে প্রচুর পানি প্রয়োজন হয়। বেলে মাটিতে ১০-১৫ দিন পরপর সেচ দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। বর্ষাকালীন ও বারমাসী বেগুনের ক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। চাষের সময় পরিচর্যা গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য মাঝে মাঝে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে। জমিতে আগাছা দেখা দিলে মাঝে মাঝে তা পরিষ্কার করতে হবে। খরকুটা অথবা শুকনা কচুরিপানা দিয়ে মাটি ঢেকে দিলে মাটিতে রস অনেক দিন থাকবে। বয়স্ক গাছে ফল উৎপাদন কমে গেলে গাছের প্রধান কান্ড গোড়ার দিকে ২০ সে.মি. রেখে গাছের বাকি অংশ কেটে দিতে হবে। এরপর সার ও সেচ দিলে কান্ডের কেটে দেওয়া জায়গা থেকে দ্রুত শাখা-প্রশাখা বেরিয়ে ফল দেওয়া শুরু করবে। বেগুন সংগ্রহ খাওয়ার উপযোগী বেগুন ক্ষেত থেকে তোলার সময় সাবধানে সংগ্রহ করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে গাছের গায়ে যেন আঘাত না লাগে বা ক্ষত সৃষ্টি না হয়। গাছ থেকে তোলা বেগুন কাঁচা পাতা অথবা খড়ের উপর রাখতে হবে যেন বেগুনে আঘাত না লাগে।ইহা অতি প্রয়জনিয় উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ এক বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করলে গড়ে প্রায় ১০০-১২০ মণ বেগুন পাওয়া যায়। বিপণন বেগুন ফসল সংগ্রহের পর ঠান্ডা ও খোলা জায়গায় কয়েক দিন সংরক্ষন করা যায়। তাই সংগ্রহের পরপরই ঝুড়িতে বা বস্তায় বাজারে পাঠান যেতে পারে। তবে বস্তায় বেশিক্ষন রাখা ঠিক হবে না।
 

Sample text

Advertisement

Your Javascript ads here!

Sample Text

Sample Text

সত্যের সাথে আগামীর পথে এ আমার প্রত্যয়
 
Blogger Templates